বেকার সমস্যার সমাধানের জন্য ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার by R@FIZ

বেকার সমস্যার সমাধানের জন্য ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার
ঘরে বসেই দক্ষ কর্মীরা সুযোগ পাচ্ছেন অনলাইনে কাজ করে বৈদেশীক মুদ্রা অর্জনের। শত শত প্রতিষ্ঠান দায়িত্বের সাথে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন দক্ষ কর্মীদের। শুধু ওডেস্ক নামক একটি প্রতিষ্ঠানে এই বছর বাংলাদেশী কর্মীরা শতভাগ অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করেছে অন্তত ২৮ লাখ ঘণ্টা। শুধু ওডেস্ক নয়; ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার, মাইক্রো ওয়ার্কার ও গ্রাফিকরিভারসহ শত শত বিদেশী প্রতিষ্ঠানে পড়ে রয়েছে লাখ লাখ কাজ। এদের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের কিছু দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের কর্মদক্ষতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি করেছে নতুন একটি আন্তর্জাতিক মানের ফ্রিলান্সিং প্লাটফর্ম black-iz.com যা নতুন প্রজন্মের সূগম পথ বয়ে আনবে। বেকার সমস্যা দূরীকরনে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশে। ফ্রিলান্সররা এখানে বিড করে ওয়েব ডিজাইনিং/ ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স, এসইও, প্রোগ্রমিং সলিওশনসহ আরও বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। যারা কাজে কম পারদর্শী তাদের জন্য রয়েছে মাইক্রোজবস। বিশ্বে বিভন্ন সাইট থাকলেও তাতে আছে পেমেন্ট নিয়ে অনিশ্চয়তা। এ ধরনের সকল সমস্যা দূর করে পেমেন্ট পাওয়ার শতভাগ‘ নিশ্চয়তার সুযোগ করে দিল earninfinity.com এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনি ভিজিট করতে পারেন black-iz.com এই ঠিকানায়। যুগের পর যুগ বাংলাদেশের জন্যে আর্নইনফিনিটি.কম সুনাম বয়ে আনবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিৎ। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটি মার্কেটপ্লেস হলো Odesk.com, Freelancer.com, Elance.com। এই তিনটি সাইটেই খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ওডেস্ক। ফ্রিল্যান্সিং-এর সবচেয়ে বড় এই মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩য়। বর্তমানে ৭০০০ সক্রিয় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ওডেস্কে এবং বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই কারণে ওডেস্কের উদ্যোগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কনট্রাক্টরস অ্যাপ্রিপ্রিয়েশন ডে (২০১২) এবং ওডেস্কের পক্ষ থেকে কয়েক দফা বাংলাদেশে সফরে এসেছেন ওডেস্কের শীর্ষস্থানীয় সব কর্মকর্তা। ২০০৯ সালে ওডেস্কের মোট কাজের ২ শতাংশ করতেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১২ সাল নাগাদ যা গিয়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশে। ২০১২ সালের প্রান্তিকে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ওডেস্কে ৭ লাখ ২০ হাজার ঘন্টা কাজ করেছেন।

ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ২৫ হাজারের বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় জনপ্রিয় সাইট ফ্রিল্যান্সার ডটকমেও বাংলাদেশিদের অবস্থান সন্তোষজনক। এ সাইটটিতে বাংলাদেশিরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজই বেশি করে থাকেন। সর্বশেষ স্ত্রিপ্টল্যান্সডটকম সাইটটি ফ্রিল্যান্সার কর্তৃক কিনে নেয়ায় বাংলাদেশি অনেক প্রোগ্রামার এখন ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কাজ শুরু করেছেন।

অপর জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সেও প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ কন্ট্রাক্টর বাই জিওগ্রাফি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। প্রকাশিত তথ্যমতে, সাইটটিতে বর্তমানে বাংলাদেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার ৩৯ হাজার ১৯৫ (৬ এপ্রিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত)। এখানে বাংলাদেশিদের প্রতি ঘন্টায় গড় কাজের মূল্য ৯ ডলার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইট থেকে ৪৯ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে।

বাংলাদেশিরা মূলত Data Entry এবং SEO/SEM/SMM-এর কাজ বেশি হয়। এছাড়া Web Development, Software Development, Writing & Content, Design, এবং Multimedia & Architecture সহ অন্যান্য কাজের পরিমাণ কম না। ওয়েব ডেবেলপমেন্ট বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত প্রকল্পে ব্যয় বেশি। এধরণের কাজগুলোতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে। দেখা যায় বাংলাদেশি একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার যেখানে প্রতি ঘন্টার জন্য ৩ থেকে ৫ ডলার মূল্যে কাজ করেন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ওয়েব ডেভেলপার প্রতি ঘন্টার জন্য ৩০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকেন। কেবল তাঁর দক্ষতার কারণেই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি চার্জ করতে পারছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের আরো দক্ষতা অর্জন করা দরকার।

বেকার সমস্যার সমাধানের জন্য ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার

আরো পড়তে পারেন ফ্রিল্যান্সিং এবং ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার
ফেসবুকে আমি

Related posts

Leave a Comment